Tomb Raider (2013) Review (PC)


Tomb Raiderজনপ্রিয় সিরিজ টম্ব রাইডারের নতুন গেম গত ৫ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এ সিরিজের প্রথম গেম মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর টম্ব রাইডার মূল সিরিজের মোট ৮টি গেম বের হয়েছে। নতুন এ গেমটি এ সিরিজের ৯ম গেম। আগের গেমগুলোতে লারাকে দেখা যেত একেবারে প্রস্তুত হয়ে প্রাচীন জিনিসপত্র উদ্ধারে নেমে যেত। নতুন এ গেমের দেখানো হয়েছে লারার একজন সাহসী প্রত্নতাত্ত্বিক হয়ে উঠার কাহিনী। তাই লারা নতুন এ গেমে আগের গেমের লারার মত পারদর্শি নয়। নতুন এ গেমে লারা সদ্য গ্রাজুয়েট করে বের হয়েছে তার বাবা বন্ধুর সাথে জাপানের হারিয়ে যাওয়া এক দ্বীপের সন্ধানে। চলুন জেনে আসা যাক নতুন এ গেমে কি কি আছে।

ডেভেলপার: Crystal Dynamics (Single Player), Eidos Montreal (Multi-Player)

পাবলিশার: Square Enix

গেম ইঞ্জিন: Crystal Engine

প্লাটফর্ম: Microsoft Windows, Playstation 3, Xbox 360

মুক্তির তারিখ: ৫ মার্চ, ২০১৩

মোড: সিঙ্গেল প্লেয়ার, মাল্টিপ্লেয়ার

ধরণ: অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার

রেটিং: M (by ESRB)

কাহিনী: গেমের প্রথমেই দেখা যাবে লারা Endurance নামে একটি জাহাজে অভিযানে বেড়িয়েছে যার ক্যাপ্টেন ক্রাফট ফ্যামালির পুরোনা বন্ধু কনরাড রোথ। জাহাজে আরও অবস্থান করছে রেইস (রোথের বান্ধবী), অ্যালেক্স (একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ), জোনাহ (একজন জেলে), গ্রিম (একজন স্কটিশ নাবিক), সামানথা (লারার কলেজের বন্ধু) এবং ড. হোয়াইটম্যান (একজন খ্যাতিমান প্রত্নতত্ত্ববিদ)। এই দলটি খুজতে বেড়িয়েছিল একটি জাপানিজ দ্বীপ যার নাম ইয়ামাটাই। ড. হোয়াইটম্যানের প্রতিবাদ সত্ত্বেও জাহাজটি লারার কথামতো ড্রাগন’স ট্রায়াঙ্গেল-এ প্রবেশ করে। এ জায়গাটি জাহাজ হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার জন্য কুখ্যাত। এ মধ্যে প্রবেশের পর হঠাৎ একটি ভয়ঙ্কর ঝড়ে জাহাজটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। লারার যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে সে আবিষ্কার করে একটি গুহার মধ্যে ঝুলন্তভাবে বাধা অবস্থায়। সে অনেক কষ্টে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এরপর সে গুহার বাহিরে জঙ্গলে এসে খাবার, থাকার স্থান এবং সেই সাথে তার বাকি সাথীদের খুজতে থাকে। কিন্তু তাকে বনের নেকড়ে হামলা করতে থাকে। এভাবে গেমের কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে।

গেমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক উন্নত। যেমন- লারার উপস্থিতি শত্রু পক্ষ টের পেলে সাথে সাথে তারা লুকিয়ে যায় এবং হাত বোমা বা গুলি ছুড়তে থাকে। লারা সামনে এগিয়ে গেলে তারাও পিছিয়ে যেতে থাকে।

গেমপ্লে: এ গেমপ্লের কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে গেমটি গেমপ্লে থার্ড পারসন শুটিং গেমের মত। গেমটি শেষ করতে টানা কমপক্ষে ১৫ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। গেমটিতে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জিং টম্ব রয়েছে যার শেষ করতে রীতিমতো মাথা ঘামানো প্রয়োজন। গেমে অস্ত্র-শস্ত্রের মধ্যে আছে – তীর-ধনুক, তলোয়ার, ছুরি সহ নানা রকম বন্দুক। সাইলেন্ট কিলের জন্য তীর ব্যবহার করাই ভাল। কাছে থেকে মারা জন্য আছে ছুরি। গেমে অ্যামো কোন অভাব নেই। মৃত শত্রুর কাছ থেকে বা আশেপাশে অ্যামো পড়ে থাকে যা ব্যবহার করা যায়। গেমে শত্রুদের সাথে হাতাহাতি করার ব্যাপারটা খুবই মজার। গেমের সাউন্ড, গ্রাফিক্স এককথায় অসাধারণ। গেমে অনেক পোগন জায়গা আছে, আরো আছে অস্ত্র আপগ্রেডের অনেক গোপন জিনিস। যা গেমের মধ্যে খুজে বের করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি গেম গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। আন-অফিসিয়াল গেম গাইড পেতে এখানে ক্লিক করুন।

মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট:

Oparating System: Windows XP SP 3

CPU: Intel Core 2 Duo 1.86 Ghz or AMD Athlon64 X2 2.1 Ghz

RAM: 1GB (2 GB Vista)

Graphics Card: AMD Radeon HD 2600 XT or nVidia 8600

TMNT -এর নতুন গেম আসছে


703378_304460_thumbটিনেজ মিউটেন্ট নিনজা টারটেলস এর নতুন গেম বাজারে আসছে। নতুন এ গেমের ডেভেলপার অ্যাকটিভিশন। এ সিরিজের এটিই প্রথম গেম যা অ্যাকটিভিশন ডেভেলপ করেছে। এ আগে এ সিরিজের গেম ডেভেলপ করেছিল ইউবিআইসফট। গেমটি তখন বের হয়েছিল এর অ্যানিমেশন মুভির কাহিনীর উপর ভিত্তি করে।

নতুন এ গেমে চার কচ্ছপ ভাই ‍লিউনার্দো, রাফায়েল, মাইকেল, ডোনাটেলোকে নিয়ে খেলতে হবে। এদের একসাথে অনলাইনে Co-op মোডেও খেলা যাবে। গেমটি পিসি, এক্সবক্স লাইভ, প্লেস্টেশন নেটওয়ার্কে মুক্তি পাবে এই গ্রীষ্মে।

Rambo: The Video Game


Ramboo

জনপ্রিয় মুভি সিরিজ র‌্যাম্বো এর গেম বের হচ্ছে। গেমটি ডেভেলপ করছে Reef Entertainment. গেমটি নির্মিত হচ্ছে র‌্যাম্বো সিরিজের প্রথম তিনটি ছবি First Blood, Raboo: First Blood Part 2, Raboo III -এর কাহিনী নিয়ে। গেমটিতে মুভির সাউন্ড ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গেমটি মুভির মতই আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। গেমটি এই বছর মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। গেমটি এক্সবক্স ৩৬০, প্লেস্টেশন ৩ এবং পিসির জন্য মুক্তি দেওয়া হবে।

Assassin’s Creed IV Black Flag Preview


সম্প্রতি জনপ্রিয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউবিআইসফট নতুন অ্যাসাসিন্স ক্রিড বাজারে আনার ঘোষণা ‍দিয়েছে। গেমটি আগামী ২৯ অক্টোবর মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চলুন নতুন এ গেম সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

AC_1

অ্যাসাসিন্স ক্রিডের নতুন এ গেমের নায়ক Edward Kenway. যে একজন জলদস্যু কিন্তু সে অ্যাসাসিন্স বিদ্যায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। আগের গেমের নায়ক Ezio -এর ট্রিলজি শেষ হয়েছে এর আগের পর্ব অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর মধ্য দিয়ে। নতুন এ গেমে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে ১৮শতকের কাহিনী।

AC_2

অ্যাসাসিন্স ক্রিডের নতুন এ গেমের সেট হচ্ছে ১৭১৫ সালের দিকে ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে। যেখানে নায়ক তার জাহাজ নিয়ে দস্যুতা করে বেড়ায়। অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর মত এ গেমেও ইংরেজ বাহিনীকে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

AC_3

নতুন এ গেমে গেমারকে খেলতে হবে ৫০ বিভিন্ন লোকেশনে যা ৩টি শহরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ তিনটি শহর হল: Havana, Kingston এবং Nassau.

ইউবিআইসফট Havana শহরের ডিজাইন করতে অ্যাসাসিন্স ক্রিড ২ এর আর্কিটেকচারাল মডেল বেছে নিয়েছে। আর Kingston শহরের ডিজাইন করা হয়েছে অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর বোস্টন শহরের মত।

গেমে এর পাশাপাশি জঙ্গল, গুহা ইত্যাদিতে যাওয়া যাবে। এই সিরিজে এই প্রথম কোন গেমে পানির নিচে ঘোরা ব্যাপারটা রাখা হয়েছে। পানির নিচে ডুবে যাওয়া কোন জাহাজ থেকে সম্পদ তোলা যাবে। আবার গেমের মধ্যে পানির নিচে হাঙ্গরের সাথেও মারামারি করতে হবে।

AC_4

এ গেমের একটি অন্যতম বাহন হল এডওয়ার্ডের জাহাজ। এ জাহাজের নাম হল Jackdaw. গেমের মধ্যের ৫০টি বিভিন্ন স্থান সমুদ্রের সাথে যুক্ত। এ জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের যে কোন যায়গায় যাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে কোন বড় জাহাজ ডাকাতি করা যাবে। বিভিন্ন জাহাজে ডাকাতি করে মালামাল লুটের মাধ্যমে প্লেয়ার আপগ্রেড যুক্ত করতে পারবে। এ আপগ্রেডের মাধ্যমে আরো বড় এবং উন্নত যুদ্ধ উপকরণযুক্ত জাহাজ পাওয়া যাবে। অন্য জাহাজ আক্রমণের ফলে প্লেয়ারের জাহাজের কোন ক্রু মারা গেলে নতুন ক্রু যুক্ত করা যাবে অর্থের বিনিময়ে। কোন জাহাজ আক্রমণ করার আগে এডওয়ার্ড তার স্পাইগ্লাস ব্যবহার করে চারদিকের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এবং কোন জাহাজের মালামাল সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে যা সেই জাহাজ বহন করছে।

AC_5

নতুন এ গেমের ট্রেলার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ট্রেলার থেকে এডওয়ার্ড থেকে কিছু ধারণা পাওয় যায়। এডওয়ার্ড তার সাথে সবসময় দুটি তলোয়ার রাখে। তার সামনে দুটি এবং পিছনে দুটি বন্দুক থাকে। তার সাথে অ্যাসাসিন্সদের হিডেন ব্লেডতো থাকছেই।

AC_6

গেমটি কাহিনীর সময়কাল হচ্ছে পাইরেটদের স্বর্ণযুগ। ১৭১৪ সালে স্প্যানিশদের যুদ্ধ শেষ হওয়া পর সেখানে বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করে। এ সময় অনেক মানুষ জলদস্যুতায় যোগ দেয়।

এ সময়কার অনেক বিখ্যাত জলদস্যু যেমন: Charles Vane, Blackbeard, Benjamin Hornigold, Anne Bonny, Calico Jack -কে এই গেমের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই সিরিজের গেমগুলো সবসময় ইতিহাস মিশ্রিত থাকে। এ গেমেও এই ব্যাপারটা লক্ষ করা যাচ্ছে বেশ ভালভাবে। গেমের ট্রেলারে সর্বকালের সেরা পাইরেট Blackbeard-কে বেশ ভালোভাবেই চিত্রায়িত করা হয়েছে।

AC_7

বরাবরের মত এবারও অ্যানিমাস নামের মেশিনটা থাকছে যা দ্বারা কোন মানুষের ডিএনএ টেস্ট করে অতীত ইতিহাস বের করা যায়।

অ্যাসাসিন্স ক্রিড পাগলরা তবে তৈরি হয়ে যান নতুন এ পাইরেট-অ্যাসাসিন্স হিসেবে খেলতে।

আসছে অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৪


AC IVইউবিআই সফট সম্প্রতি অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৪ -এর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ গেমের নাম দেওয়া হয়েছে Black Flag. নতুন এ গেমে বিভিন্ন শহরের খেলা পাশাপাশি জঙ্গলে এবং সমুদ্রেও খেলতে হবে। গেমটি প্লেস্টেশন ৩ এর পাশাপাশি প্লেস্টেশন ৪-এ ও মুক্তি দেওয়া হবে। তবে গেমটি কবে নাগাদ মুক্তি দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।

Farcry 3 Single Player Review (PC)


picজনপ্রিয় গেম সিরিজ ফারক্রাই এর তৃতীয় সংস্করণ বের হয়েছে। চলুন নতুন এ গেম সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

ডেভেলপার: Ubisoft Montreal

পাবলিশার: Ubisoft

প্লাটফর্ম: Playstation 3, Xbox 360, Microsoft Windows

গেম ইঞ্জিন: Dunia Engine 2 with Havok physics

মুক্তির তারিখ: ৩০ নভেম্বর, ২০১২

কাহিনী: ফারক্রাই ৩ গেমটি ২০০৮ সালে বের হওয়া ফারক্রাই ২ এর সিক্যুয়েল। ফারক্রাই ৩ এর লোকেশন হচ্ছে ইন্ডিয়ান এবং প্যাসিফিক ওসানের মাঝামাঝি কোন একটি দ্বীপ। গেমারকে খেলতে হবে Jason Brody-এর ভূমিকায়।

Jason Brody তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে আসে ব্যাংককে। সেখানে তারা ঠিক করে তারা স্কাইডাইভিং এ যাবে। তারা সবাই একটি জলদস্যুদের দ্বীপে অবতরণ করে। তাদের সবাইকে জলদস্যুদের নেতা ভাস বন্দী করে ফেলে। ভাস বুদ্ধি করে তাদের পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে তাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিবে। জাসন তার বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার বড় ভাই পালাতে গিয়ে মারা পড়ে। ­­­­জাসনকে ডেনিস নামে এক ব্যক্তি বাচায় যে রাকাত এর অন্তর্ভূক্ত। রাকাত হচ্ছে সেই দ্বীপে বসবাসকারি একটি উপজাতি যারা জলদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গেছে। এ উপজাতির নেতা হচ্ছে কিটরা। এরপর সেখান থেকে গেমারের অভিযান শুরু হবে তার অন্যান্য বন্ধুদের বাচানোর এবং ভাস ও তার দস্যু বাহিনীকে ধ্বংস করার। এ গেমের কাহিনী এগিয়ে যাবে। এ গেমটি হচ্ছে ওপেন ওয়ার্ল্ড ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম।

FC_3_CAMERA

গেমে নতুন অনেক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। নতুন গেমে স্ক্রীণের বাম সাইডে নিচের দিকে মিনি ম্যাপ যুক্ত করা হয়েছে। যা আগের গেমে ছিল না। আগের গেমে প্রতিবার ম্যাপ বের করে করে দেখা বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। আগের গেমে আশেপাশের প্রাণীগুলোকে আঘাত করা যেত না। নতুন এ গেম এসব প্রাণীকে আঘাত করার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে হিংস্র প্রাণী যারা খেলোয়ারকে নানাভাবে আক্রমণ করবে। গেমে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে আছে বাঘ, ভাল্লুক, কুমির, কুকুর, সাপ, কমোডো ড্রাগন ইত্যাদি।  গেমে নতুন অস্ত্রের মধ্যে যুক্ত হয়েছে তীর। গেমে মূল ‍মিশনের পাশাপাশি আছে সাইড ‍মিশন যাতে গেমারকে ছবি তুলতে হবে, পশু ‍শিকার করতে হবে ইত্যাদি। গেমের প্রথম থেকে সম্পূর্ণ ম্যাপ থাকবে না অর্থাৎ গেম খেলতে ম্যাপে নানা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা যাবে।

 

FC_3_MAP_1আগের পর্বে গেমারকে কিছু কিনতে হলে বা মিশন শেষ করলে হীরা পেত কিন্তু এবারে হীরার বদলে যুক্ত করা হয়েছে টাকা। গেমে ছুরি ‍দিয়ে কাউকে পিছনে থেকে মারার ব্যাপারটা ভালই লাগবে। গেমে ছুরি ছুড়েও শত্রুকে মারা যায়। লুকিয়ে লুকিয়ে শত্রুকে মারার সময় শত্রু গেমারের উপস্থিতি কতটা বুঝতে পেরেছে তাও গেমে বোঝা যায়। গেমে কোন ক্যারেক্টার মরে পরে থাকলে তাকে সার্চ করে তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা, গুলি, বোমা ইত্যাদি লুট করা যায়। গেমে কারের পাশাপাশি মটরসাইকেলও আছে। গেমে কিছু গাছ আছে যা সংগ্রহ করে গেমার ঔষধ বানাতে পারবে যা লাইফ কমে গেলে কাজে আসবে। গেমে বিভিন্ন কাজের উপর পয়েন্ট পাওয়া যায়। যেমন- হেডশট, লুকিয়ে মারা, মাল্টিকিল ইত্যাদি। পয়েন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে গেমারের দক্ষতা বাড়ানো যায়। গেমে কিছু কিছু গুহা আছে যেখানে পশু থাকে সেখানে গিয়ে পশুকে মেরে তাদের চামড়া ছাড়িয়েও টাকা পাওয়া যায়।

গেমে গ্রাফিক্স, গেমপ্লে, সাউন্ড ইত্যাদি এককথায় অসাধারণ। গেমটি খেলে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।

মিনিমাম হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows XP 32bit

র‌্যাম: 2 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce 8600 GT অথবা Radeon HD 2600 Pro

প্রসেসর: Core 2 Duo E6400 2.13GHz অথবা Athlon 64 X2 Dual Core 4000+

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB

 

রিকোমেন্ডেড হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows 7 64bit

র‌্যাম: 4 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce GT 640 1GB DDR3 অথবা Radeon HD 4850

প্রসেসর: Core i3-530 2.9GHz অথবা Phenom II X2 565

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB

 

Tomb Raider (2013) PC Requirement


Tomb Raiderটম্ব রাইডার সিরিজের নতুন গেম আগামী ৫ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে। অন্যান্য কনসোলের পাশাপাশি পিসির জন্যও এটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বরাবরের মত এবারও গেমটি ডেভেলপ করেছে Crystal Dynamics এবং Nixxes যৌথভাবে। গেমটি তৈরি হয়েছে AMD টেকনোলজিতে। সম্প্রতি তারা গেম চালানোর জন্য সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট প্রকাশ করেরছ। নিচে তা দেওয়া হল।

মিনিমাম:

অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্সপি (সার্ভিস প্যাক ৩), উইন্ডোজ ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮

গ্রাফিক্স কার্ড: ডাইরেক্টএক্স ৯ কম্প্যাটিবল ৫১২ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড : AMD HD 2600 XT, nVidia 8600

প্রসেসর: ডুয়ালকোর সিপিাইউ : AMD Anthlon64 X2 2.1 Ghz (4050+), Intel Core2 Duo 1.86 Ghz (E6300)

র‌্যাম: 1GB Memory (2GB on Vista)

রিকোমেন্ডেড:

অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮

গ্রাফিক্স কার্ড: DirectX 11 graphics card with 1GB Video RAM: AMD Radeon HD 5870, nVidia GTX 480

প্রসেসর: ডুয়ালকোর সিপিাইউ : Quad core CPU: AMD Phenom II X2 955, Intel Core i5-750

র‌্যাম: 4GB Memory

 

গেমের সাধারণ বৈশিষ্ট্য:

১. গেমের অগ্রগতি অনলাইনে সেভ হবে।

২. গেম অটো আপডেট হবে।

৩. মাউস এবং কিবোর্ড বাটন চেজ্ঞ করা যাবে।

৪. গেম প্যাড সাপোর্ট।

Battlefield 3 Review


শুটিং গেমের জগতে কল অব ডিউটি সিরিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ব্যাটলফিল্ড সিরিজের গেম। ব্যাটলফিল্ড সিরিজের গেম বের হলো তিনটি এবং এক্সপানশনসহ সর্বমোট ৮টি। প্রথম পর্বের দুটি এক্সপানশন হচ্ছে দ্য রোড টু রোম ও সিক্রেট ওয়েপনস অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার ২ এবং দ্বিতীয় পর্বের এক্সপানশন তিনটি হচ্ছে স্পেশাল ফোর্সেস, ইউরো ফোর্সেস ও আর্মোরড ফিউরি। মূল সিরিজের বাইরে বের হওয়া কয়েকটি গেমের মধ্যে রয়েছে-ব্যাটলফিল্ড ভিয়েতনাম, মডার্ন কমব্যাট, ব্যাটলফিল্ড ২১৪২ ও ব্যাটলফিল্ড ১৯৪৩। ব্যাটলফিল্ড সিরিজের সাব সিরিজ হিসেবে রয়েছে ব্যাড কোম্পানি সিরিজ, যার দুটি গেম বের হয়েছে। গেমটি ডেভেলপ করেছে ইলেকট্রনিক আর্টস ডিজিটাল ইল্যুশন্স সিই এবং পাবলিশ হয়েছে ইলেকট্রনিক আর্টসের ব্যানারে। গেমটি ডেভেলপ করা হয়েছে ফ্রস্টবাইট ২ নামের গেম ইঞ্জিন দিয়ে। গেমটি বের হওয়ার প্রথম সপ্তাহে ৫ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয়েছে।

প্লট

গেমটির শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাটলফিল্ড ২ গেমের কাহিনীর সূত্র ধরে। গেমে ব্যবহৃত লোকেশনগুলো হচ্ছে-তেহরান, প্যারিস, সুলাইমানিয়া, নিউইয়র্ক, ওয়েক আইল্যান্ড, ওমান এবং আরো কিছু এলাকা। মূলত গেমের পটভূমি টানা হয়েছে ২০১৪ সালের ইরান-ইরাক বর্ডারের যুদ্ধ নিয়ে, যে যুদ্ধের রেশ প্যারিস হয়ে নিউইয়র্ক পর্যন্ত গড়াবে। গেমের শুরু হয়েছে সার্জেন্ট ব্ল্যাকবার্নের কাহিনী দিয়ে, যা শেষের দিকে দিমিত্রি মায়াকোভস্কির দিকে ধাবিত হয়েছে।

গেমপ্লে

আলাদা আলাদা ইউনিটের কম্বিনেশনে গেমটি খেলার ব্যবস্থা রাখায় গেমটি সিঙ্গেল প্লেয়ার, কো-অপারেটিভ ও মাল্টিপ্লেয়ার সব মোডেই বেশ চমৎকারভাবে খেলা সম্ভব হয়েছে। গেমের গেমপ্লেতে বেশ নতুনত্বের ছোঁয়া থাকায় অনেকেই মডার্ন ওয়ারফেয়ার ৩ গেমটির চেয়ে এটির গেমপ্লেকে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন। ব্যাটললগ নামের ক্রস প্লাটফর্ম সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসের সাহায্যে বিল্ট-ইন টেক্সট মেসেজিং, ভয়েস কমিউনিকেশনস ও গেম স্ট্যাটিস্টিকস বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে, যা গেম খেলার স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে অ্যাসাউল্ট, সাপোর্ট, ইঞ্জিনিয়ার ও রেকন-এ চারটি চরিত্রে খেলার সুযোগ রয়েছে। ক্যাম্পেইন মোডের দিক থেকে তুলনা করলে মডার্ন ওয়ারফেয়ারের চেয়ে ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমের গেমপ্লে কিছুটা ফিকে হয়েছে। ক্যাম্পেইন মোডে গেমটিতে কিছু আলাদা পারসোনা সিলেক্ট করে খেলার সুবিধা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মিলিটারি পারসোনার মধ্যে রয়েছে-ইউএসএমসি রিকোনাইসেন্স অফিসার, এফ-১৮ সিস্টেমস অফিসার, এমওয়ানএটু অ্যাব্রামস ট্যাঙ্ক অপারেটর ও স্পেটসন্যাজ অপারেটিভ। মডার্ন ওয়ারফেয়ারের ড্রাম বিট, অ্যাকশন মুভি ধাঁচের পরিবেশ ও অগণিত শত্রুপক্ষ গেমটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে ব্যাটলফিল্ড ৩ কল অব ডিউটিকে মাত দিয়েছে। গেম উপস্থাপনের ক্ষেত্রে দুটি গেমই ড্র করেছে বলা যায়, কারণ গ্রাফিক্স কোয়ালিটির দিক থেকে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ব্যাটলফিল্ডের কো-অপারেটিভ মোড মডার্ন ওয়ারফেয়ারের চেয়ে কিছুটা দুর্বল। সহজ কথায় বলতে গেলে গেম দুটির কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গেম দুটিকে ভিন্ন করে তুলেছে।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট

প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজ/এএমডি এথলন এক্সটু ৪৮০০+

র‌্যাম : ২ গিগাবাইট

অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ ভিস্তা/৭

গ্রাফিক্স কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি/এটিআই রাডেওন এইচডি ৩৮৭০)

হার্ডডিস্ক স্পেস : ২০-২৫ গিগাবাইট।

বি.দ্র.ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমটি শুধু ডিরেক্ট এক্স ১০ ও ১১ সাপোর্টে চলে, তাই তা ডিরেক্টএক্স ৯ সাপোর্টেড উইন্ডোজ এক্সপিতে চলবে না। গেমটি খেলার জন্য ভিসতা সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ সেভেন ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে গেমের আসল স্বাদ উপভোগ করা যাবে।

Serious Sam 3: BFE Review Bangla


কম্পিউটার গেমারদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত ভার্সন সিরিয়াস স্যাম। ফাস্ট পারসন শুটিং এবং অ্যাকশনের সমন্বয়ে নির্মিত গেমটির প্রতিটি ভার্সন দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি রিলিজ পেয়েছে ডিভলভার ডিজিটালের ব্যানারে এবং ভার্সনটির ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ক্রোটিম।
মিশরকে প্রাধান্য দেয়া গেমটিতে রয়েছে দারুণ নতুনত্ব। ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বেশ আন্তরিকভাবে মিশনগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। ভার্সনটিতে ক্যাম্পেইন এবং সারভাইভাল দুটো মোড পাওয়া যাবে। গেমটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন স্যাম স্টোন। গেমটিতে রয়েছে পাঁচটি ডিফিকাল্টি লেভেল, এগুলো হলো টুরিস্ট, ইজি, নরমাল, হার্ড এবং সিরিয়াস। প্রথমটি বেশ সহজ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি মোটামুটি ধরনের হলেও শেষের দুটো লেভেল আক্ষরিক অর্থেই বেশ কঠিন। কাজেই গেমার বুঝেশুনে খেলে লেভেলগুলো পেরিয়ে আসতে হবে। বর্তমান ভার্সনটিতে পূর্বতন ভার্সনগুলোর কিছু মজাদার দিক যুক্ত করার পাশাপাশি ভয়ঙ্কর শত্রু এবং যাযাবরদের নিয়ে আসা হয়েছে। ভয়ঙ্কর বিভিন্ন যান্ত্রিকমানব, কঙ্কালসদৃশ, একচক্ষুদানবের পরবর্তী লেভেলগুলোতে গেমার আরও বিভিন্ন দানবচরিত্র পাবেন। আরেকটি বিষয় হলো অন্যান্য ফাস্ট পারসন গেমগুলোর চাইতে এর লেভেলগুলো বেশ দীর্ঘ। এখানে গেমারের লক্ষ্য হলো ক্রুসদস্যুদের উদ্ধারের পাশাপাশি স্থাপনাগুলোর ভেতর যাওয়ার নির্দেশনা খুঁজে বের করা। দারুণ উত্তেজনাকর বিভিন্ন অ্যাকশনসমৃদ্ধ ভার্সনটিতে ভয়ঙ্কর সব শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়বার জন্য রয়েছে বড় এবং বুদ্ধিদীপ্ত বিভিন্ন অস্ত্রাদি। দারুণ অস্ত্রভার সংবলিত গেমটিতে বুলেট, লেসার, বিস্ফোরক কিংবা ক্যাননবলের আধিক্য রয়েছে। রয়েছে ডাবল-ব্যারেল শর্টগান, মিনিগানের মতো ভয়ঙ্কর অস্ত্র। তবে গেমার যত বেশি পরিমাণে অস্ত্রাদি সংগ্রহ করতে পারবেন ততই ভালো। গেমার এখানে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে হবে এবং খুঁজতে হবে। তাহলে গেমার আরও বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাবে, যা গেমারের বেশ কাজে আসবে। গেমটির অনস্ক্রিনে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়াদি। অস্ত্রাদির পরিমাণ, ধরন কিংবা লাইফ সাপোর্টের বিষয়গুলো স্ক্রিন থেকেই জানা যাবে। তবে এর ম্যাপগুলোতে গেমার কিছু বিষয় পাবেন না, এসব গোপনীয় বিষয়গুলো গেমারকে নিজে থেকেই খুঁজে বের করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে হেলথ, অস্ত্রাদি, গোলা-বারুদ, অন্যান্য গোপনীয় বিষয়াদির চাবি এবং নতুন বিভিন্ন অস্ত্রাদি। সূক্ষ্ ভিজ্যুয়াল ডিজাইন সংবলিত গেমটির সিকোয়েন্সগুলোর বিস্তারিত বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অ্যাকশন, পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি কিংবা ধুলোময় পরিবেশ সব কিছুই বেশ পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। গেমটির আরেকটি মজার দিক হলো এক্ষেত্রে একসঙ্গে চারজন খেলতে পারবেন স্পিলিটস্ক্রিনে চারটি ইউএসবি গেমপ্যাড ব্যবহারের মাধ্যমে। গেমটিতে আরও রয়েছে অটোমেটিক সেভিং পয়েন্ট। ৯.০ রেটিং সাউন্ডসমৃদ্ধ গেমটির সাউন্ড কোয়ালিটি অসাধারণ। গেমটির মাল্টিপ্লেয়ার মোডটি বেশ আকর্ষণীয়। ১৬ জন গেমার খেলার সুবিধাসম্পন্ন এ অপশনে তিনটি ম্যাপ পাওয়া যাবে।

 

Max Payen 3 Short Review Bangla


জনপ্রিয় থার্ড পারসন শুটিং গেম সিরিজ মাক্স পেইনের তৃতীয় সিক্যুয়েল ২০১২ সালের জুনে মুক্তি পেয়েছে। ২০০১ ও ২০০৩ সালে সিরিজের প্রথম দুটি সিক্যুয়েল বের হয়৷ এর আগের গেম দুইটি ডেভেলপ করেছিল রেমডি এন্টারটেইনমেন্ট এবং পাবলিশার ছিল রকস্টার গেমস৷ এবার নতুন গেমটি ডেভেলপ করেছে রকস্টার নর্থ এবং বরাবরের মত এবারও গেমটি পাবলিশ করেছে রকস্টার গেমস৷সিরিজের প্রতিটি গেম সর্বপ্রথম পিসির জন্য মুক্তি দেওয়া হলেও এবার গেমটি কনসোলের জন্যই আগে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ নতুন পর্বের কাহিনী শুরু হয়েছে আগের গেমের কাহিনী শেষ হবার প্রায় বছর পরের ঘটনা৷ মাক্স নিউওয়ার্ক পুলিশ থেকে অবসর গ্রহণ করেছে। মাক্স এবার ব্রাজিলে৷ ব্রাজিলের অন্যতম ধনী পরিবার ব্রানচো ফ্যামিলির পারিবারিক নিরাপত্তারক্ষক হিসাবে কাজ করছে৷ মাক্স কিভাবে ব্রাজিলে আসল তা গেম খেলতে খেলতে মাক্সের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যাবে৷ গেমে ব্রাজিলে খেলার পাশাপাশি  নিউওয়ার্কেও খেলতে হবে মাক্সের স্মৃতিচারণের অংশ ‍হিসেবে। গেমে প্রথমে আগের মাক্সকে নিয়ে খেলতে হবে কিন্তু গেমের কাহিনী আগাতে আগাতে একসময় নতুন মাক্সকে পাওয়া যাবে৷ মাক্স তার মাথা মুড়িয়ে ফেলে, এতে তার চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে৷ গেমের প্রতিটি লেভেলে কিছু ক্লু পাওয়া যাবে যা গেমের কাহিনী বুঝতে সাহায্য করবে৷ গেমে একটি বিষয় বিরক্ত লাগতে পারে সেটি হচ্ছে এর অতিরিক্ত ভিডিও৷ এর সাথে গেমের ভিডিও স্কিপ করা যায় না৷ গেমে প্রতিটি লেভেলে বোনাস হিসেবে থাকছে গোল্ডেন গান৷ গেমে সিঙ্গেল প্লেয়ারের পাশাপাশি মাল্টিপ্লেয়ারও আছে৷ এর জন্য ল্যান বা ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন৷ মাল্টিপ্লেয়ারে মাক্সকে নিয়ে খেলার সুযোগ নেই৷ তবে এর ক্যারেক্টারগুলো সবাই মাক্স এর মত কসরতে পারদর্শীমাল্টিপ্লেয়ারে খেলার জন্য নতুন নতুন ম্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। এ গেমে নতুন ‍কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে যেমন- কভার নেওয়া, ক্যামশট, অটো পেইন কিলার নেওয়া ইত্যাদি৷ গেমে হাত দিয়ে শত্রুদের মারার সুবিধাও আছে৷ মিসাইল, হাতবোমা, গ্রেনেডকে গুলি করে ধ্বংস করার ব্যাপারটা গেমার ভাল লাগবে৷ গেমের কাহিনী এবং গ্রাফিক্স এক কথায় চমৎকার৷

যা যা লাগবে:

অপারেটিংসিস্টেম: উইন্ডোজ এক্সপি/ভিসতা//  

প্রসেসর: .গিগাহার্জ 

র‌্যাম: জিবি 

হার্ডডিস্ক: ৩৫ জিবি

গ্রাফিক্সকার্ড: এনভিডিয়া জিটি ১২০ বা এটিআই রাডোন এইচডি ৩৪০০ সিরিজ