Assassin’s Creed IV Black Flag Preview


সম্প্রতি জনপ্রিয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউবিআইসফট নতুন অ্যাসাসিন্স ক্রিড বাজারে আনার ঘোষণা ‍দিয়েছে। গেমটি আগামী ২৯ অক্টোবর মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চলুন নতুন এ গেম সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

AC_1

অ্যাসাসিন্স ক্রিডের নতুন এ গেমের নায়ক Edward Kenway. যে একজন জলদস্যু কিন্তু সে অ্যাসাসিন্স বিদ্যায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। আগের গেমের নায়ক Ezio -এর ট্রিলজি শেষ হয়েছে এর আগের পর্ব অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর মধ্য দিয়ে। নতুন এ গেমে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে ১৮শতকের কাহিনী।

AC_2

অ্যাসাসিন্স ক্রিডের নতুন এ গেমের সেট হচ্ছে ১৭১৫ সালের দিকে ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে। যেখানে নায়ক তার জাহাজ নিয়ে দস্যুতা করে বেড়ায়। অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর মত এ গেমেও ইংরেজ বাহিনীকে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

AC_3

নতুন এ গেমে গেমারকে খেলতে হবে ৫০ বিভিন্ন লোকেশনে যা ৩টি শহরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ তিনটি শহর হল: Havana, Kingston এবং Nassau.

ইউবিআইসফট Havana শহরের ডিজাইন করতে অ্যাসাসিন্স ক্রিড ২ এর আর্কিটেকচারাল মডেল বেছে নিয়েছে। আর Kingston শহরের ডিজাইন করা হয়েছে অ্যাসাসিন্স ক্রিড ৩ এর বোস্টন শহরের মত।

গেমে এর পাশাপাশি জঙ্গল, গুহা ইত্যাদিতে যাওয়া যাবে। এই সিরিজে এই প্রথম কোন গেমে পানির নিচে ঘোরা ব্যাপারটা রাখা হয়েছে। পানির নিচে ডুবে যাওয়া কোন জাহাজ থেকে সম্পদ তোলা যাবে। আবার গেমের মধ্যে পানির নিচে হাঙ্গরের সাথেও মারামারি করতে হবে।

AC_4

এ গেমের একটি অন্যতম বাহন হল এডওয়ার্ডের জাহাজ। এ জাহাজের নাম হল Jackdaw. গেমের মধ্যের ৫০টি বিভিন্ন স্থান সমুদ্রের সাথে যুক্ত। এ জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের যে কোন যায়গায় যাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে কোন বড় জাহাজ ডাকাতি করা যাবে। বিভিন্ন জাহাজে ডাকাতি করে মালামাল লুটের মাধ্যমে প্লেয়ার আপগ্রেড যুক্ত করতে পারবে। এ আপগ্রেডের মাধ্যমে আরো বড় এবং উন্নত যুদ্ধ উপকরণযুক্ত জাহাজ পাওয়া যাবে। অন্য জাহাজ আক্রমণের ফলে প্লেয়ারের জাহাজের কোন ক্রু মারা গেলে নতুন ক্রু যুক্ত করা যাবে অর্থের বিনিময়ে। কোন জাহাজ আক্রমণ করার আগে এডওয়ার্ড তার স্পাইগ্লাস ব্যবহার করে চারদিকের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এবং কোন জাহাজের মালামাল সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে যা সেই জাহাজ বহন করছে।

AC_5

নতুন এ গেমের ট্রেলার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ট্রেলার থেকে এডওয়ার্ড থেকে কিছু ধারণা পাওয় যায়। এডওয়ার্ড তার সাথে সবসময় দুটি তলোয়ার রাখে। তার সামনে দুটি এবং পিছনে দুটি বন্দুক থাকে। তার সাথে অ্যাসাসিন্সদের হিডেন ব্লেডতো থাকছেই।

AC_6

গেমটি কাহিনীর সময়কাল হচ্ছে পাইরেটদের স্বর্ণযুগ। ১৭১৪ সালে স্প্যানিশদের যুদ্ধ শেষ হওয়া পর সেখানে বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করে। এ সময় অনেক মানুষ জলদস্যুতায় যোগ দেয়।

এ সময়কার অনেক বিখ্যাত জলদস্যু যেমন: Charles Vane, Blackbeard, Benjamin Hornigold, Anne Bonny, Calico Jack -কে এই গেমের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই সিরিজের গেমগুলো সবসময় ইতিহাস মিশ্রিত থাকে। এ গেমেও এই ব্যাপারটা লক্ষ করা যাচ্ছে বেশ ভালভাবে। গেমের ট্রেলারে সর্বকালের সেরা পাইরেট Blackbeard-কে বেশ ভালোভাবেই চিত্রায়িত করা হয়েছে।

AC_7

বরাবরের মত এবারও অ্যানিমাস নামের মেশিনটা থাকছে যা দ্বারা কোন মানুষের ডিএনএ টেস্ট করে অতীত ইতিহাস বের করা যায়।

অ্যাসাসিন্স ক্রিড পাগলরা তবে তৈরি হয়ে যান নতুন এ পাইরেট-অ্যাসাসিন্স হিসেবে খেলতে।

Farcry 3 Single Player Review (PC)


picজনপ্রিয় গেম সিরিজ ফারক্রাই এর তৃতীয় সংস্করণ বের হয়েছে। চলুন নতুন এ গেম সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

ডেভেলপার: Ubisoft Montreal

পাবলিশার: Ubisoft

প্লাটফর্ম: Playstation 3, Xbox 360, Microsoft Windows

গেম ইঞ্জিন: Dunia Engine 2 with Havok physics

মুক্তির তারিখ: ৩০ নভেম্বর, ২০১২

কাহিনী: ফারক্রাই ৩ গেমটি ২০০৮ সালে বের হওয়া ফারক্রাই ২ এর সিক্যুয়েল। ফারক্রাই ৩ এর লোকেশন হচ্ছে ইন্ডিয়ান এবং প্যাসিফিক ওসানের মাঝামাঝি কোন একটি দ্বীপ। গেমারকে খেলতে হবে Jason Brody-এর ভূমিকায়।

Jason Brody তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে আসে ব্যাংককে। সেখানে তারা ঠিক করে তারা স্কাইডাইভিং এ যাবে। তারা সবাই একটি জলদস্যুদের দ্বীপে অবতরণ করে। তাদের সবাইকে জলদস্যুদের নেতা ভাস বন্দী করে ফেলে। ভাস বুদ্ধি করে তাদের পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে তাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিবে। জাসন তার বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার বড় ভাই পালাতে গিয়ে মারা পড়ে। ­­­­জাসনকে ডেনিস নামে এক ব্যক্তি বাচায় যে রাকাত এর অন্তর্ভূক্ত। রাকাত হচ্ছে সেই দ্বীপে বসবাসকারি একটি উপজাতি যারা জলদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গেছে। এ উপজাতির নেতা হচ্ছে কিটরা। এরপর সেখান থেকে গেমারের অভিযান শুরু হবে তার অন্যান্য বন্ধুদের বাচানোর এবং ভাস ও তার দস্যু বাহিনীকে ধ্বংস করার। এ গেমের কাহিনী এগিয়ে যাবে। এ গেমটি হচ্ছে ওপেন ওয়ার্ল্ড ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম।

FC_3_CAMERA

গেমে নতুন অনেক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। নতুন গেমে স্ক্রীণের বাম সাইডে নিচের দিকে মিনি ম্যাপ যুক্ত করা হয়েছে। যা আগের গেমে ছিল না। আগের গেমে প্রতিবার ম্যাপ বের করে করে দেখা বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। আগের গেমে আশেপাশের প্রাণীগুলোকে আঘাত করা যেত না। নতুন এ গেম এসব প্রাণীকে আঘাত করার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে হিংস্র প্রাণী যারা খেলোয়ারকে নানাভাবে আক্রমণ করবে। গেমে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে আছে বাঘ, ভাল্লুক, কুমির, কুকুর, সাপ, কমোডো ড্রাগন ইত্যাদি।  গেমে নতুন অস্ত্রের মধ্যে যুক্ত হয়েছে তীর। গেমে মূল ‍মিশনের পাশাপাশি আছে সাইড ‍মিশন যাতে গেমারকে ছবি তুলতে হবে, পশু ‍শিকার করতে হবে ইত্যাদি। গেমের প্রথম থেকে সম্পূর্ণ ম্যাপ থাকবে না অর্থাৎ গেম খেলতে ম্যাপে নানা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা যাবে।

 

FC_3_MAP_1আগের পর্বে গেমারকে কিছু কিনতে হলে বা মিশন শেষ করলে হীরা পেত কিন্তু এবারে হীরার বদলে যুক্ত করা হয়েছে টাকা। গেমে ছুরি ‍দিয়ে কাউকে পিছনে থেকে মারার ব্যাপারটা ভালই লাগবে। গেমে ছুরি ছুড়েও শত্রুকে মারা যায়। লুকিয়ে লুকিয়ে শত্রুকে মারার সময় শত্রু গেমারের উপস্থিতি কতটা বুঝতে পেরেছে তাও গেমে বোঝা যায়। গেমে কোন ক্যারেক্টার মরে পরে থাকলে তাকে সার্চ করে তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা, গুলি, বোমা ইত্যাদি লুট করা যায়। গেমে কারের পাশাপাশি মটরসাইকেলও আছে। গেমে কিছু গাছ আছে যা সংগ্রহ করে গেমার ঔষধ বানাতে পারবে যা লাইফ কমে গেলে কাজে আসবে। গেমে বিভিন্ন কাজের উপর পয়েন্ট পাওয়া যায়। যেমন- হেডশট, লুকিয়ে মারা, মাল্টিকিল ইত্যাদি। পয়েন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে গেমারের দক্ষতা বাড়ানো যায়। গেমে কিছু কিছু গুহা আছে যেখানে পশু থাকে সেখানে গিয়ে পশুকে মেরে তাদের চামড়া ছাড়িয়েও টাকা পাওয়া যায়।

গেমে গ্রাফিক্স, গেমপ্লে, সাউন্ড ইত্যাদি এককথায় অসাধারণ। গেমটি খেলে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।

মিনিমাম হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows XP 32bit

র‌্যাম: 2 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce 8600 GT অথবা Radeon HD 2600 Pro

প্রসেসর: Core 2 Duo E6400 2.13GHz অথবা Athlon 64 X2 Dual Core 4000+

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB

 

রিকোমেন্ডেড হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows 7 64bit

র‌্যাম: 4 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce GT 640 1GB DDR3 অথবা Radeon HD 4850

প্রসেসর: Core i3-530 2.9GHz অথবা Phenom II X2 565

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB

 

GTA V preview


বিশ্বের জনপ্রিয় গেম সিরিজের মধ্যে অন্যতম সিরিজ হল জিটিএ । আপনাদের সামনে এ সিরিজের নতুন গেম এবং প্রথম জিটিএ পঞ্চম প্রজন্মের গেম গ্রান্ড থেফট অটো ফাইভ এর প্রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছে গেম পাগল । চলুন জেনে আসি নতুন কি কি আছে এ গেমে ।
১. এ সিরিজের গেমে এ প্রথম পানির নিচে যাওয়ার সুযোগ আছে, সেই সাথে পানির নিচে যাওয়ার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার, পোশাক, সাবমেরিন ইত্যাদিও পাওয়া যাবে । পানির নিচের বিভিন্ন প্রাণী যেমন- বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, শার্ক পাওয়ার সাথে সাথে পানির নিচে গুহাও থাকবে বলে জানা গেছে ।
২. জিটিএ থ্রি, ভাইস সিটিতে মিশনের সাথে সাথে সাইড মিশন অর্থাৎ টাক্সি বা অ্যাম্বুলেস ইত্যাদি চালিয়ে টাকা আয় করা যেত তা জিটিএ সিরিজ থেকে বিদায় নিলেও এ সিরিজে আবার তা ফিরে আসছে নতুন এ গেমের মধ্য দিয়ে ।
৩. নতুন এ গেমে মোট ক্যারেক্টার তিনটি অর্থাৎ গেমে খেলার ক্যারেক্টার তিনটি । তিনটি ক্যারেক্টারকে নিয়ে গেমে খেলা যাবে । তিনটি ক্যারেক্টার বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শি । ট্রেভর হেলিকপ্টার চালাতে, ফ্যাংকলিন গাড়ি ও স্নাইপার রাইফেল চালাতে এবং মাইকেল নানা বিষয়ে দক্ষ ।
৪. গেম খেলার সময় গাড়ির রেডিওতে Radar Love গানটি থাকবে ।
৫. এতে ‍সিঙ্গেলপ্লেয়ারের পাশাপাশি মাল্টিপ্লেয়ারও থাকছে ।
৬. আগের চাইতে মাল্টিপ্লেয়ারে অনেক বেশি উপাদান থাকছে যা প্লেয়ারকে ব্যস্ত রাখবে ।
৭. মাক্স পেইন ৩ বের হবার পর রকস্টার গেমসের এটি প্রথম গেম তাই এ গেমের গ্রাফিক্স মাক্স পেইন ৩ এর মতন ।
৮.‍ গেমে কভারের ‍বিষয়টা বেশ সুন্দর । আগের গেমের চাইতে কভারের বিষয়টা বেশ আপডেট করা হয়েছে এবং গেমপ্লেতে এটি বেশ দরকারী একটি বিষয় ।
৯. এ গেমে টাকা খরচ করা একটি মজার বিষয় । দামি পুতুল কেনা ‍বিষয়টা গেমে যুক্ত হয়েছে । এটিতে টাকা আয় করা যেমন মজার তেমনি খরচ করাও মজার ।
১০. গেমে মিশনের ধরণও পরির্বতন হয়েছে । বড়-ছোট কাজ, পারিবারিক ইস্যু, ডাকাতি, হোস্টেজকে বাচানো ইত্যাদি সাথে আগের মত মিশন কিন্তু আপডেটেড ।
১১. মিশনের সময় ডাইনামিক মিউজিক ।(L.A. Noire গেমের মত)
১২. মিশন অনুযায়ী ক্যারেক্টার অটো চেঞ্জ হবে ।
১৩. গেমে মাল্টিপল ইন্ডিং থাকছে ।
১৪. প্রথম থেকেই গেমের সম্পূর্ণ ম্যাপ ওপেন থাকবে ।
১৫. কিছু কিছু মিশনে প্রবেশ করতে টাকার দরকার হবে ।
১৬. গেমে এক্সটা কনটেন্ট থাকছে যা মূল স্টোরি লাইন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । এতে কিছু ডায়নামিক মিশন থাকছে ।
 
অনলাইন অবলম্বনে
Feedback: nahian6014@gmail.com

TOM CLANCY’S SPLINTER CELL® BLACKLIST™ Overview


জনপ্রিয় গেম সিরিজ হল টম ক্যান্সিস স্পিন্টার সেল এর নতুন গেম আবার হাজির হচ্ছে ইউবিআই সফট । গেমটি এ বছরের বসন্তে বের হবার কথা । এ গেমে আবার স্যাম ফিশার ফিরে আসছে আগের রূপে । স্যাম ফিশার এবারে Fourth Echelon নামে ১২ সদস্যের একটি দলের প্রধান । এ টিম মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ অর্ডারে তৈরী হয়েছে । টেররিস্টরা ব্লাকলিস্ট নামে একটি আলটিমেটাম ঘোষণা করেছে । Fourth Echelon নামে এই টিমের কাজ হল যেকোন মূল্যে ব্লাকলিস্ট নামে এই কাউন্ডাউন জিরোতে পৌছানোর আগে বন্ধ করা ।

গেমের নতুন সুবিধা:
স্যামকে আবার তার আগের পোশাক ও চশমার সাথে ফেরত আনা হয়েছে । স্যাম হচ্ছে এমন একজন সিক্রেট এজেন্ট যে আইনের উদ্ধে থেকে কাজ করতে পারে । সে শত্রুদের কাছ থেকে ব্লাকলিস্টের তথ্য আদায়ে যে কোন পর্যায় পর্যনত যেতে পারে । তাকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্লাকলিস্টের পেছনের লোকদের খুজে বের করতে হবে । গেমের মারামারি গুলো বেশ সিনেমেটিক তৈরি করা হয়েছে, গেমে আগের মতই মোশন কিলিং ব্যাপারটা আছে । নতুন কিছু এর সাথে যুক্ত হয়েছে । যেমন – দৌড়াতে থাকলে সামনে কোন বাধা থাকলে তা একাএকাই লাফিয়ে পার হবে । সামনে দেওয়াল থাকলে তাতে উঠে যাবে ।
গেমে নতুন কিছু গেজেট যুক্ত করা হয়েছে তার সাথে পুরোনো সেই চশমাতো থাকছেই ।নতুন গেজেটগুলো হল upgraded snake cam and micro tri-rotor drone যা স্যামকে নানাভাবে সাহায্য করবে ।

গেমে মিশন শেষ করে অর্থ আয় করা সুযোগ রয়েছে যা দিয়ে নতুন অস্ত্র কেনা বা আপগ্রেড করা যাবে ।

Preview: Resident Evil 6 Ada Campaign (Demo)


 রেসিডেন্ট ইভিল ৬ এ তিনটি আলাদা ক্যাম্পেন থাকার কথা ছিল । সম্প্রতি এর ডেভেলোপার প্রতিষ্ঠান ক্যাপকম নিশ্চিত করে যে, এতে তিনটি নয় চারটি ক্যাম্পেন থাকছে । এ ক্যাম্পেনে এডা অংকে নিয়ে খেলতে হবে ।
এডার ক্যাম্পেন লক: এডা ক্যাম্পেনটি গেমের প্রথমে লক থাকবে । অন্য ক্যাম্পেনগুলো ওভার করলে এ আনলক হবে । অন্য ক্যাম্পেনের সাথে এ ক্যাম্পেনের গল্প অতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে । এ ক্যাম্পেনে খেলতে খেলতে এডার সাথে লিওন এবং এ দুই জনের সাথেই দেখা হবে ।
প্রচুর পাজলের উপস্থিতি: রেসিডেন্ট ইভিল ৪ এবং ৫ এ অ্যাকশন ছিল উল্লেখ করার মত । সেই সাথে মাথা ঘামানোর মত পাজলও ছিল যথেষ্ট । নতুন এ গেমেও অ্যাকশনের পাশাপাশি প্রচুর পাজল আছে । এ গেমের পাজল চিকিৎসামূলক ও অনুসন্ধানমুখী । কিছু কিছু পাজল সমাধান করার জন্য প্রচুর চিন্তা ভাবনা করার প্রয়োজন আছে । যাদের মাথা ঘামাতে পছন্দ করেন তাদের এটি ভাল লাগবে ।
এডার অস্ত্র: লারা ক্রাফট, প্রভেট ইত্যাদি গেম চরিত্রের মত এডাও তার শত্রুদের দিকে তীর ছুড়তে পারে । এডার প্রিয় অস্ত্র হল ক্রসবো । এ অস্ত্রটা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় । এটা দিয়ে জোম্বিদের মাথা দেহ থেকে আলাদা করে ফেলা যায় । এক সারিতে দাঁড়ানো জোম্বিদের একসাথে এর মাধ্যমে হত্যা করা যায় । কিছু পাজল গেমেও এর প্রয়োজন হয় । রেসিডেন্ট ইভিল গেমের স্টাইল অনুযায়ী এর Ammo নির্দিষ্ট । ক্রসবো এর রিলোড টাইম অত্যন্ত বেশি মনে হবে যখন একসাথে অনেক বেশি জোম্বি একসাথে আক্রমণ করবে ।
এডার চলাচল: রেসিডেন্ট ইভিল ৬ এ এডাকে অন্যান্য চরিত্র থেকে বেশি চটপটে দেখা যায় । গেমে এডা যেকোন বস্তুর উপর দ্রুত চড়তে পারে । তাই এডা যেকোন জায়গায় খুব দ্রুত যেতে পারে । বিশেষত কোন কিছুর উপর উঠার (যেক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেক্ষেত্রে) ডিগবাজী দেওয়া খুব আকর্ষণীয় লাগতে পারে ।
মাল্টিপ্লেয়ার মোড: অন্য ক্যাম্পেনের মত এডার ক্যাম্পেনে মাল্টিপ্লেয়ারে খেলা যায় না । অর্থাৎ এ ক্যাম্পেনে অন্য কোন চরিত্র নিয়ে খেলার সুযোগ থাকছে না । কিন্তু এডার পাশাপাশি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত লিওন ও হেলেনাও থাকবে ।
হেলেনার বোন ডেব্রা সম্পর্কে জানা যাবে: রেসিডেন্ট ইভিল এর ডেমো ভার্সনের শেষে দেখা যাবে হেলেনার বোন ডেব্রার উপর ডেরেক সাইমন একটি ভয়াবহ পরীক্ষা চালায় । যার ফলে সে অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেক জোম্বি হয়ে যায় ।এরপর এডার সাথে ডেব্রার বস বেটেল শুরু হয় । বস বেটেল খুবই কঠিন হয়ে যাবে যদি Ammo স্টক করে না রাখা হয় ।
এডার ক্যাম্পেন গেমে যুক্ত হার কারণে গেমের সাইজ আরও বেড়ে যাবে । আর এটি সেই সাথে এ সিরিজের ভক্তদের ও মন জয় করবে বলে আশা করা যায় ।