Open IV Download & Install


গ্রান্ড থেফট অটো সিরিজ বিশ্বের একটি অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ। এ সিরিজের গেমগুলো এতই জনপ্রিয় যে এই গেমের শুধু অফিসিয়াল ভার্সনই নয় এর অনেক আন-অফিসিয়াল ভার্সনও আছে যা তৈরি করেছে আমাদের মত কিছু গেমার। বাংলাদেশেও এ গেমের চাহিদা আছে। এজন্য এ সিরিজের দুইটি গেমের বাংলা ভার্সনও আছে যা আমাদের দেশের কিছু প্রতিভাবান গেমার মিলে তৈরি করেছে। এ সিরিজের চতুর্থ প্রজন্মের গেম GTA IV. এ গেমও এডিট করা যায়। এ গেমটি এডিট করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যা এ সাইটে প্রকাশিত হবে। আশা করি আপনাদের সবাইকে আমাদের এই আয়োজনের সাথে পাব।
GTA সিরিজের GTA IV-ই প্রথম গেম যা RAGE (Rockstar Advance Game Engine) দিয়ে তৈরি। RAGE হচ্ছে রকস্টার কোম্পানির তৈরি একটি অ্যাডভান্স গেম ইঞ্জিন। এরপর থেকে রকস্টারের গেমগুলো এই ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি করা হয়। GTA IV এডিট করার প্রথম যে সফটওয়্যারের কথা আলোচনা করা হবে তা হল Open IV. এটি একটি RAGE রিসার্চ প্রজেক্ট। এটি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে www.openiv.com এ প্রবেশ করুন এবং এ সফটওয়্যারটির লেটেস্ট ভার্সন ডাউনলোড করুন। এটি প্রায় 3.59 MB. এটি ডাউনলোড হয়ে গেলেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দিবেন না কারণ আরও কাজ বাকি আছে। ডাউনলোড করা ফাইলাটি ওপেন করুন। এবার Choose your language উইন্ডো এলে English সিলেক্ট করে Continue এ ক্লিক করুন।
IMAGE_1
IMAGE_2
উপরের চিত্রের মত অপশনগুলো নির্বাচন করুন। এবার Desktop থেকে OpenIVSetup.exe নামের ফাইলটি খুজে বের করে ওপেন করুন।
IMAGE_1
IMAGE_3
উপরের চিত্রের মত অপশনগুলো নির্বাচন করুন। ইনস্টল শেষ হয়ে গেলে ‍সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। দেখা যাবে যে গেম সিলেক্ট করতে বলছে। এখানে তিনটি গেমের নাম আছে অর্থাৎ সফটওয়্যারটি আপাতত এই তিনটি গেম সাপোর্ট করে। বাজার থেকে এই তিনটি গেমের মধ্যে যে কোন একটি গেম কিনে আনুন ও কম্পিউটারে ইন্সটল দিন এবং আমাদের পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা করুন। ততদিন পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।
IMAGE_5


Batman Arktam city

Batman Arktam city

২০১১ সালের গেমগুলোর মধ্যে ব্যাটম্যান আর্কহাম সিটি নিজের স্থান শীর্ষের দিকে পাকাপোক্ত করে নিয়েছে অসাধারণ গেমপ্লে ও কাহিনীর মাধ্যমে। ২০০৯ সালে বের হওয়া এ সিরিজের প্রথম গেম আর্কহাম অ্যাসাইলাম গেমের দারুণ সফলতার পর নতুন এ গেমটিও সবার মন জয় করে নিয়েছে। অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার, স্টিলথ ও ক্লোজ কমব্যাটের অসাধারণ সংমিশ্রণের এ গেমটি ডেভেলপ করেছে রকস্টেডি স্টুডিওস। গেমটির আইওএস প্লাটফর্ম ভার্সন অবমুক্ত করেছে নেদাররেলম স্টুডিওস। নতুন গেমিং কনসোল নিনটেনডো উইই ইউয়ের জন্য ২০১২ সালে বের হতে যাচ্ছে গেমটির আরেকটি ভার্সন। গেমটির মূল পাবলিশার ওয়ার্নার ব্রাদারস ইন্টার-অ্যাকটিভ এন্টারটেইনমেন্ট এবং জাপানে পাবলিশ করেছে স্কয়ার ইনিক্স। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ৩। গেমটির শুধু সিঙ্গেল প্লেয়ার মোড রয়েছে।

গেমের প্রথমে দেখা যাবে হুগো স্ট্রেঞ্জ নামের এক ডাক্তার ব্যাটম্যানের গোপন পরিচয় জেনে যাবে এবং তাকে অপহরণ করে ব্রুস ওয়েন রূপে থাকা অবস্থায়। হুগো ব্রুসকে বলে পালানোর চেষ্টা করলে তার গোপন পরিচয় সবার সামনে ফাঁস করে দেবে। ব্রুসকে বন্দি থাকতে হবে তার প্রটোকল ১০ নামের প্রজেক্ট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। এরপর তাকে বন্দি করে পাঠানো হবে আর্কহাম সিটি নামের বিশাল কারাগারে, যা কি না আর্কহাম অ্যাসাইলামের চেয়েও ৫ গুণ বড়। গোথাম সিটির সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের রাখা হয়েছে এ জেলখানায়। জেলে থাকা অবস্থায় মি. পেঙ্গুইন ব্রুসকে মারতে এলে হাতাহাতি শুরু হয় এবং এতে সে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে যায়। পরে বাটলার আলফ্রেডের সহায়তায় এয়ারড্রপের মাধ্যমে ব্যাটস্যুট ও গ্যাজেট আনিয়ে নিয়ে ব্যাটম্যান সেজে প্রটোকল ১০-এর রহস্য উদঘাটন করার কাজে নামতে হবে। ব্যাটম্যান রূপে আসার পর প্রথম কাজ হবে ক্যাটওম্যানকে টু-ফেসের হাত থেকে। জোকার টাইটান ফর্মুলা নামের এক বিষাক্ত টক্সিনে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। রোগের কোনো প্রতিষেধক না পেয়ে সে একটি চাল চালবে। ব্যাটম্যানকে ফাঁদে ফেলে তার নিজের বিষাক্ত রক্ত সে ব্যাটম্যানের শরীরে দিয়ে দেবে যাতে ব্যাটম্যান নিজে বাঁচার জন্য এর প্রতিষেধকের খোঁজ বের করে। ব্যাটম্যান প্রতিষেধকের খোঁজ পেলে জোকার তা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ফন্দি আটেঁ ।

টাইটান ফর্মুলার কারণে ব্যাটম্যানের জীবনীশক্তি কমতে থাকবে। তার হাতে সময় থাকবে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এ ফর্মুলা নিয়ে ড. ফ্রিজ গবেষণা করছিল। তাই ব্যাটম্যান তাকে খুঁজে বেড়াবে। ড. ফ্রিজকে বন্দি করে পেঙ্গুইন তার শক্তিশালী আইসগান ছিনিয়ে নিয়ে আর্কহাম সিটিতে রাজত্ব করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তাকে হারিয়ে ব্যাটম্যান উদ্ধার করে ড. ফ্রিজকে। কিন্তু ফ্রিজ জানায় এ বিষের অ্যান্টিবডি বহু আগেই নিঃশেষ হয়ে গেছে। তিনি ব্যাটম্যানকে বলেন যে, ৬০০ বছর ধরে বেঁচে থাকা রাস আল গল নামের এক ডিমন বা রাক্ষসের রক্তের মধ্যে আছে এ বিষের অ্যান্টিবডি। তাই মৃত্যুর সাথে লড়তে লড়তে সে গিয়ে পৌঁছায় গলের আস্তানায়। সেখানে ব্যাটম্যান তার পুরনো প্রেমিকা টালিয়ার দেখা পায় যে কি না গলের মেয়ে ও এসাসিনদের সর্দারনী। গলের সাথে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের পর তাকে হারিয়ে তার রক্ত নিয়ে সে দেবে ফ্রিজকে। কিন্তু ফ্রিজের স্ত্রীকে জোকার কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। তাই ফ্রিজ শর্ত রাখে তাকে উদ্ধার করে না দিলে সে ব্যাটম্যানকে প্রতিষেধক দেবে না। তারপর ফ্রিজের সাথেও লড়াই করতে হবে। তাকে হারিয়ে জোকারের আস্তানায় গিয়ে তার সাথে বোঝাপড়া করতে হবে। প্রতিষেধকের ফলে ব্যাটম্যান রক্ষা পেয়ে যাবে, কিন্তু জোকারকে বাঁচাতে পারবে না ব্যাটম্যান। জোকারের পালা শেষে হুগোর পালা আসবে। এখনো সমাধান হয়নি প্রটোকল ১০-এর। যতই এগোবে রহস্যের জাল ততই জড়িয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন বাজি রেখে ব্যাটম্যানকে হুগোর পরিকল্পনা মাটি করতে হবে।

গেমের মজার ব্যাপার হচ্ছে গেমে মেইন প্লট একই, কিন্তু প্রতিটি সাইড মিশন আলাদা আলাদা প্লটে সাজানো। গেমে সারা শহরে ছড়ানো রিডলারের ধাঁধার সমাধান করতে হবে এবং সংগ্রহ করতে হবে ট্রফি। এতে করে আনলক হবে কনসেপ্ট আর্ট, থ্রিডি ক্যারেক্টার মডেল, ক্যারেক্টার বায়োগ্রাফি, চ্যালেঞ্জ মিশন ইত্যাদি। মূল গেমের পাশাপাশি সাইড মিশন খেলা যাবে বা মূল মিশন শেষ হওয়ার পড়েও সেগুলো খেলা যাবে। গেম শেষে সাইড মিশন খেলার জন্য ব্যাটম্যান ও ক্যাটওম্যানের মাঝে পালাবদল করে নেয়া যাবে। দুজনকে নিয়ে খেলার কৌশল আলাদা, তাই গেমে আগের গেমের তুলনায় ব্যাপক বৈচিত্র্যের দেখা মিলবে। সাইড মিশনগুলোতে লড়াই করতে হবে নামকরা আততায়ী ডেডশট, জেসাইস নামের পাগল খুনী, টু-ফেস, বেন ও আরো অনেকের সাথে। গেমে অনেক গ্যাজেট ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে গেম খেলার স্বাদ বহুগুণে বেড়ে গেছে। সনিক ব্যাটারাং, ইলেকট্রিক শকার, রিমোট কন্ট্রোলড ব্যাটারাং, ব্যাটক্ল, স্মোক বম্ব, এক্সপ্লোসিভ জেল ইত্যাদি গ্যাজেট দিয়ে খেলার দক্ষতা আরো ভালোভাবে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রত্যেক কমব্যাটের পরে দেয়া হবে পয়েন্ট, যা পরে কমব্যাট স্টাইল, গ্যাজেট ও ব্যাটস্যুট আপগ্রেড করার কাজে লাগবে। গেমের আরো কয়েকটি ভালো দিক হচ্ছে দুর্দান্ত ফাইটিং টেকনিক, ক্রাইম সলভিং সিকোয়েন্স, অসাধারণ ভয়েস অ্যাক্টিং, অসংখ্য ধাঁধা, বিপুল পরিমাণ আনলকেবল কনটেন্ট ইত্যাদি। গেমের ত্রুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে-খুব সহজ বস ব্যাটল, গেমপ্লের ধাঁচ পুরনো গেমের মতোই প্রায়, হাই কনফিগারেশন পিসি রিকমেন্ডেশন ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এটি বেশ ভালোমানের একটি গেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, যা না খেলে দেখলেই নয়।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট:

প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজ/এএমডি এথলন এক্সটু ৪৮০০+

মেমরি : ২ গিগাবাইট

গ্রাফিক্স হার্ডওয়্যার : ৫১২ মেগাবাইট (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি/এটিআই রাডেওন এইচডি ৩৮৫০)

হার্ডডিস্ক স্পেস : ১৭ গিগাবাইট।

Tomb Raider Underworld Review


পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে আছে কত অজানা রহস্য। অজানা তথ্যগুলোর কতটুকুই বা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি? প্রকৃতিতে লুকিয়ে থাকা এসব রহস্যের সন্ধানে কত অভিযান হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যারা এসব রহস্যের সমাধানে নিজের জীবন বিপন্ন করে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাদের হতে হয় দারুণ সাহসী নির্ভীক। প্রত্নতত্ত্ব বা আর্কিওলজি হচ্ছে বিজ্ঞানের একটি শাখা। এতে ভৌত ধ্বংসাবশেষ পরিবেশগত তথ্যপুনরুদ্ধার, দলিলীকরণ সঠিক ব্যাখ্যাদানের মাধ্যমে মানব জাতির সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের বলা হয় প্রত্নতত্ত্ববিদ। তারা বিভিন্ন স্থাপত্য, আর্টিফ্যাক্ট (মানুষের নির্মিত বস্তু), বায়োফ্যাক্ট, প্রাকৃতিকসাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যাবলী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন। এমন কিছু ব্যক্তিত্বের সাথে আপনাদের পরিচয় আছে কি, যারা এসব কাজের সাথে জড়িত? অ্যাডভেঞ্চার মুভির যদি ভক্ত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই ইন্ডিয়ানা জোনস বা টম্ব রাইডারের নাম আপনার অজানা থাকার কথা নয়। ইন্ডিয়ানা জোনস টম্ব রাইডার ছাড়া ও আরো অনেক মুভি রয়েছে, যার মূল কাহিনী গড়ে উঠেছে গুপ্তধন শিকারকে কেন্দ্র করে।

টম্ব রাইডারের প্রথম আবির্ভাব ঘটে গেমসের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে। এই সিরিজের গেমগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া ছিল, তাই একে একে বের হয়েছে ৮টি পর্ব। টম্ব রাইডারের ৩য় সিরিজের পর থেকে এর নামকরণ শুরু হয়েছিল। তার আগে টম্ব রাইডার , বা , এভাবেই বের হতো। ৪র্থ পর্বের নাম ছিল দ্য লাস্ট রেভেলেশন। এভাবে একে একে বাকি গুলোর নাম হচ্ছে ক্রনিক্যালস, দ্য অ্যাঞ্জেল অব ডার্কনেস, লিজেন্ড, এনিভারসারি আন্ডারওয়ার্ল্ড। এই গেমের বেশ কিছু এক্সপানশন প্যাকও রয়েছে, সেগুলো হলো আনফিনিশড বিজনেস, গোল্ডেন মাস্ক, দ্য লস্ট আর্টিফ্যাক্ট এবং নতুন আন্ডারওয়ার্ল্ড গেমের এক্সপানশন প্যাকটির নাম হচ্ছে বেনেথ দ্য অ্যাশেসলারাশ্যাডো। ২০১০ সালে এর নতুন একটি এক্সপানশন বের হয় যার নাম হচ্ছে লারা ক্রাফট এন্ড দ্য গার্ডিয়ান অব লাইট। এ বছর এ সিরিজের নতুন গেম বের হবে। গেমবয় এডভান্স কনসোলের জন্য বের হওয়া এই গেম সিরিজের নামগুলো হচ্ছে টম্বরাইডার, কার্স অব দ্য সোর্ড দ্য প্রফেসি। টম্বরাইডারের ওপরে নির্মিত হয়েছে দুটি মুভি, যাদের নাম হচ্ছে লারা ক্রাফটটম্ব রাইডার দ্য ক্রাডেল অব লাইফ। তৃতীয় মুভির কাজ এখনো চলছে। আজকের আলোচ্য গেমটি হচ্ছে টম্বরাইডারআন্ডারওয়ার্ল্ড, যা টম্ব রাইডার নামেও পরিচিত। আন্ডারওয়ার্ল্ড হচ্ছে এই সিরিজের প্রথম গেম, যা প্লেস্টেশন এর জন্য রিলিজ করা হয়েছে। এর আগে আর কোনো গেম পিএসএর জন্য অবমুক্ত করা হয়নি। গেমটি ডেভেলপ করেছে ক্রিস্টাল ডায়নামিক্স পাবলিশ করেছে ইডিও সইন্টার এ্যাকটিভ। গেমটি তৈরি হয়েছে ‘Tomb Raider  Underground’ ইঞ্জিন দিয়ে । গেমে লারা ক্রাফটের সাথে গলা মিলিয়েছেন Keeley Hawes.

টম্ব রাইডারের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে লারা ক্রফট নামের এক ইংরেজ তরুণী। যার নেশা হচ্ছে গুপ্তধন শিকারের জন্য অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো, মোকাবেলা করা ভয়ঙ্কর সব প্রাণীর। তার রক্তে রয়েছে অভিযানের নেশা, কারণ তার বাবামা উভয়েই ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ। লারার বাবা মিস্টার ক্রফট নানা রকম শিক্ষার মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই লারাকে একজন নির্ভীক অভিযাত্রী হিসেবে গড়ে তোলেন।

নতুন এই গেমটির কাহিনী গড়ে উঠেছে এনিভারসারির পরের কাহিনীর ধারাবাহিকতা হিসেবে। এই গেমে লারাকে আবার মুখোমুখি হতে হবে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাকুইলিন নাটলার সাথে। গেমে আরো রয়েছে লারার পুরনো সহকর্মী আমান্ডা, যে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এবার লারাকে নিয়ে অভিযানের স্থানগুলো হচ্ছে, ভূমধ্যসাগর, থাইল্যান্ড, আন্দামান, মেক্সিকো, জান মায়েন দ্বীপ আর্কটিক সাগর। লারার অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হবে রাজা আর্থারের পৌরাণিক বিশ্রামাগার অ্যাভালন সন্ধান করা। গেমেনর্সদের যুদ্ধের দেবতা থরের গ্রাউন্টলেট নিয়ে খেলার ব্যাপারটি নতুনত্বের আভাস দেয়।

এই সিরিজের পুরনো গেমগুলোর মাঝে কোনো কিছু বেয়ে ওঠা, সাঁতার কাটা, লাফিয়ে কোনো স্থান পার হওয়া, গোলাগুলি করা, নানা রকম পাজলের সমাধান করা ছিল বিশেষ বৈশিষ্ট্য। কিন্তু নতুন এই গেমে রয়েছে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য, যা আগের কোনোটাতেই ছিল নাতার মধ্যে রয়েছে মিলি কমব্যাট বা সামনা সামনি লড়াই করার সুবিধা, দুহাতের দুই অস্ত্র দিয়ে দুটি আলাদা বস্তুকে নিশানা করা, এক হাতে কোনো কিছু ধরে রাখা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে গুলি করা, গ্রাপলিং হুক দিয়ে আটকিয়ে কোনো বস্তুটেনে আনা বা ফেলে দেয়া এবং তার সাথে অসাধারণ শারীরিক কসরতের মাধ্যমে চলা-ফেরা করার  ব্যাপারতো রয়েছেই। আগের গেমগুলোর ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা যেতো যে লারা কী কী করতে পারে? কিন্তু নতুন এই গেম আপনার চিন্তাধারা প্রশ্ন করার ভঙ্গিই বদলে দেবে। এখন আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে লারা কী কী করতে পারে না? তাই বুঝতেই পারছেন নতুন এই লারার কতখানি বিবর্তন হয়েছে। টম্ব রাইডারের পুরনো গেমিং স্টাইলের ধারাবাহিকতা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারায় প্রবেশ ঘটেছে মূলত টম্ব রাইডার লিজেন্ডের মধ্য দিয়ে। এই গেম দিয়ে শুরু হয়েছিল লারার নতুন মডেল, যা ছিল আগের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর নিখুঁত। পুরনো টম্ব রাইডারের গ্রাফিক্সের সাথে লিজেন্ড বা এনিভারসারির যে বিশাল পার্থক্য খুঁজে পাবেন, সেই রকমের পার্থক্য খুঁজে পাবেন লিজেন্ডের সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ড গেমটির গ্রাফিক্স কোয়ালিটির সাথে। গেমের মধ্যে বাস্তবতার দারুণ এক উদাহরণ এই গেমটি, যা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না

গেমটি খেলার জন্য প্রয়োজন হবে:
প্রসেসর: পেন্টিয়াম , .গিগাহার্টজের
র‌্যাম:গিগাবাইট র‌্যাম, এনভিডিয়া জিফোর্স ৬৮০০ জিটি বা এটিআই ১৮০০ এক্সটি (ন্যূনতম)
হার্ডডিস্ক:গিগাবাইট (ভিসতায় খেলার জন্য গিগাবাইট র‌্যামের প্রয়োজন হবে)

Rockstar Games Announce GTA V Release Date


রকস্টার গেমস সম্প্রতি তাদের ওয়েব সাইটে জানিয়েছে যে জিটিএ ৫ গেম এই বসন্তে বের হচ্ছে না৷ গেমটি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তে বের হবে৷ গেমটি অনেক জটিল একটি গেম তাই রকস্টারের গেমটি তৈরিতে আরও সময় প্রয়োজন৷ নতুন এ গেমের প্লট তৈরি হয়েছে ৩ তিনটি ক্যারেক্টার নিয়ে৷ এবারের শহর হচ্ছে লস স্যান্তোস৷ তারা জানিয়েছে যে, তাদের জিটিএ গেম টিম এ গেম তৈরিতে কঠোর পরিশ্রম করছে। গেমটি বের হতে দেরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি দুঃখ প্রকাশ করেছে। 

GTA V preview


বিশ্বের জনপ্রিয় গেম সিরিজের মধ্যে অন্যতম সিরিজ হল জিটিএ । আপনাদের সামনে এ সিরিজের নতুন গেম এবং প্রথম জিটিএ পঞ্চম প্রজন্মের গেম গ্রান্ড থেফট অটো ফাইভ এর প্রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছে গেম পাগল । চলুন জেনে আসি নতুন কি কি আছে এ গেমে ।
১. এ সিরিজের গেমে এ প্রথম পানির নিচে যাওয়ার সুযোগ আছে, সেই সাথে পানির নিচে যাওয়ার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার, পোশাক, সাবমেরিন ইত্যাদিও পাওয়া যাবে । পানির নিচের বিভিন্ন প্রাণী যেমন- বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, শার্ক পাওয়ার সাথে সাথে পানির নিচে গুহাও থাকবে বলে জানা গেছে ।
২. জিটিএ থ্রি, ভাইস সিটিতে মিশনের সাথে সাথে সাইড মিশন অর্থাৎ টাক্সি বা অ্যাম্বুলেস ইত্যাদি চালিয়ে টাকা আয় করা যেত তা জিটিএ সিরিজ থেকে বিদায় নিলেও এ সিরিজে আবার তা ফিরে আসছে নতুন এ গেমের মধ্য দিয়ে ।
৩. নতুন এ গেমে মোট ক্যারেক্টার তিনটি অর্থাৎ গেমে খেলার ক্যারেক্টার তিনটি । তিনটি ক্যারেক্টারকে নিয়ে গেমে খেলা যাবে । তিনটি ক্যারেক্টার বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শি । ট্রেভর হেলিকপ্টার চালাতে, ফ্যাংকলিন গাড়ি ও স্নাইপার রাইফেল চালাতে এবং মাইকেল নানা বিষয়ে দক্ষ ।
৪. গেম খেলার সময় গাড়ির রেডিওতে Radar Love গানটি থাকবে ।
৫. এতে ‍সিঙ্গেলপ্লেয়ারের পাশাপাশি মাল্টিপ্লেয়ারও থাকছে ।
৬. আগের চাইতে মাল্টিপ্লেয়ারে অনেক বেশি উপাদান থাকছে যা প্লেয়ারকে ব্যস্ত রাখবে ।
৭. মাক্স পেইন ৩ বের হবার পর রকস্টার গেমসের এটি প্রথম গেম তাই এ গেমের গ্রাফিক্স মাক্স পেইন ৩ এর মতন ।
৮.‍ গেমে কভারের ‍বিষয়টা বেশ সুন্দর । আগের গেমের চাইতে কভারের বিষয়টা বেশ আপডেট করা হয়েছে এবং গেমপ্লেতে এটি বেশ দরকারী একটি বিষয় ।
৯. এ গেমে টাকা খরচ করা একটি মজার বিষয় । দামি পুতুল কেনা ‍বিষয়টা গেমে যুক্ত হয়েছে । এটিতে টাকা আয় করা যেমন মজার তেমনি খরচ করাও মজার ।
১০. গেমে মিশনের ধরণও পরির্বতন হয়েছে । বড়-ছোট কাজ, পারিবারিক ইস্যু, ডাকাতি, হোস্টেজকে বাচানো ইত্যাদি সাথে আগের মত মিশন কিন্তু আপডেটেড ।
১১. মিশনের সময় ডাইনামিক মিউজিক ।(L.A. Noire গেমের মত)
১২. মিশন অনুযায়ী ক্যারেক্টার অটো চেঞ্জ হবে ।
১৩. গেমে মাল্টিপল ইন্ডিং থাকছে ।
১৪. প্রথম থেকেই গেমের সম্পূর্ণ ম্যাপ ওপেন থাকবে ।
১৫. কিছু কিছু মিশনে প্রবেশ করতে টাকার দরকার হবে ।
১৬. গেমে এক্সটা কনটেন্ট থাকছে যা মূল স্টোরি লাইন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । এতে কিছু ডায়নামিক মিশন থাকছে ।
 
অনলাইন অবলম্বনে
Feedback: nahian6014@gmail.com

Halo 2 All Level Unlocker


এখানেক্লিক করে Halo 2 All Level Unlock.rar ফাইলটি ডাউনলোড করে Extract করুন । এবার Readme.txt ওপেন করে এর ইন্সট্যাকশন মোতাবেক কাজ করুন । কাজ শেষ হয়ে গেলে গেমটি ওপেন করুন । এখন আপনি যেকোন লেভেল সিলেক্ট করে খেলা শুরু করতে পারবেন ।

TOM CLANCY’S SPLINTER CELL® BLACKLIST™ Overview


জনপ্রিয় গেম সিরিজ হল টম ক্যান্সিস স্পিন্টার সেল এর নতুন গেম আবার হাজির হচ্ছে ইউবিআই সফট । গেমটি এ বছরের বসন্তে বের হবার কথা । এ গেমে আবার স্যাম ফিশার ফিরে আসছে আগের রূপে । স্যাম ফিশার এবারে Fourth Echelon নামে ১২ সদস্যের একটি দলের প্রধান । এ টিম মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ অর্ডারে তৈরী হয়েছে । টেররিস্টরা ব্লাকলিস্ট নামে একটি আলটিমেটাম ঘোষণা করেছে । Fourth Echelon নামে এই টিমের কাজ হল যেকোন মূল্যে ব্লাকলিস্ট নামে এই কাউন্ডাউন জিরোতে পৌছানোর আগে বন্ধ করা ।

গেমের নতুন সুবিধা:
স্যামকে আবার তার আগের পোশাক ও চশমার সাথে ফেরত আনা হয়েছে । স্যাম হচ্ছে এমন একজন সিক্রেট এজেন্ট যে আইনের উদ্ধে থেকে কাজ করতে পারে । সে শত্রুদের কাছ থেকে ব্লাকলিস্টের তথ্য আদায়ে যে কোন পর্যায় পর্যনত যেতে পারে । তাকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্লাকলিস্টের পেছনের লোকদের খুজে বের করতে হবে । গেমের মারামারি গুলো বেশ সিনেমেটিক তৈরি করা হয়েছে, গেমে আগের মতই মোশন কিলিং ব্যাপারটা আছে । নতুন কিছু এর সাথে যুক্ত হয়েছে । যেমন – দৌড়াতে থাকলে সামনে কোন বাধা থাকলে তা একাএকাই লাফিয়ে পার হবে । সামনে দেওয়াল থাকলে তাতে উঠে যাবে ।
গেমে নতুন কিছু গেজেট যুক্ত করা হয়েছে তার সাথে পুরোনো সেই চশমাতো থাকছেই ।নতুন গেজেটগুলো হল upgraded snake cam and micro tri-rotor drone যা স্যামকে নানাভাবে সাহায্য করবে ।

গেমে মিশন শেষ করে অর্থ আয় করা সুযোগ রয়েছে যা দিয়ে নতুন অস্ত্র কেনা বা আপগ্রেড করা যাবে ।

Battlefield 3 All Level Unlocker


ফাস্টপারসন শুর্টিং গেমের মধ্যে অন্যতম একটি গেম ব্যাটলফিল্ড ৩ । এখানে ক্লিক করে Battlefield 3 All level Unlock.rar  ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন ।এবার ফাইলটি Extract করে Readme.txt ওপেন করে এর ইন্সট্যাকশন মোতাবেক ফাইলগুলো কপি করুন । এবার ব্যাটলফিল্ড ৩ গেম ওপেন করুন । এখন আপনি গেমের যেকোন লেভেল থেকে খেলা শুরু করতে পারবেন ।