Tomb Raider (2013) Review (PC)


Tomb Raiderজনপ্রিয় সিরিজ টম্ব রাইডারের নতুন গেম গত ৫ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এ সিরিজের প্রথম গেম মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর টম্ব রাইডার মূল সিরিজের মোট ৮টি গেম বের হয়েছে। নতুন এ গেমটি এ সিরিজের ৯ম গেম। আগের গেমগুলোতে লারাকে দেখা যেত একেবারে প্রস্তুত হয়ে প্রাচীন জিনিসপত্র উদ্ধারে নেমে যেত। নতুন এ গেমের দেখানো হয়েছে লারার একজন সাহসী প্রত্নতাত্ত্বিক হয়ে উঠার কাহিনী। তাই লারা নতুন এ গেমে আগের গেমের লারার মত পারদর্শি নয়। নতুন এ গেমে লারা সদ্য গ্রাজুয়েট করে বের হয়েছে তার বাবা বন্ধুর সাথে জাপানের হারিয়ে যাওয়া এক দ্বীপের সন্ধানে। চলুন জেনে আসা যাক নতুন এ গেমে কি কি আছে।

ডেভেলপার: Crystal Dynamics (Single Player), Eidos Montreal (Multi-Player)

পাবলিশার: Square Enix

গেম ইঞ্জিন: Crystal Engine

প্লাটফর্ম: Microsoft Windows, Playstation 3, Xbox 360

মুক্তির তারিখ: ৫ মার্চ, ২০১৩

মোড: সিঙ্গেল প্লেয়ার, মাল্টিপ্লেয়ার

ধরণ: অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার

রেটিং: M (by ESRB)

কাহিনী: গেমের প্রথমেই দেখা যাবে লারা Endurance নামে একটি জাহাজে অভিযানে বেড়িয়েছে যার ক্যাপ্টেন ক্রাফট ফ্যামালির পুরোনা বন্ধু কনরাড রোথ। জাহাজে আরও অবস্থান করছে রেইস (রোথের বান্ধবী), অ্যালেক্স (একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ), জোনাহ (একজন জেলে), গ্রিম (একজন স্কটিশ নাবিক), সামানথা (লারার কলেজের বন্ধু) এবং ড. হোয়াইটম্যান (একজন খ্যাতিমান প্রত্নতত্ত্ববিদ)। এই দলটি খুজতে বেড়িয়েছিল একটি জাপানিজ দ্বীপ যার নাম ইয়ামাটাই। ড. হোয়াইটম্যানের প্রতিবাদ সত্ত্বেও জাহাজটি লারার কথামতো ড্রাগন’স ট্রায়াঙ্গেল-এ প্রবেশ করে। এ জায়গাটি জাহাজ হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার জন্য কুখ্যাত। এ মধ্যে প্রবেশের পর হঠাৎ একটি ভয়ঙ্কর ঝড়ে জাহাজটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। লারার যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে সে আবিষ্কার করে একটি গুহার মধ্যে ঝুলন্তভাবে বাধা অবস্থায়। সে অনেক কষ্টে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এরপর সে গুহার বাহিরে জঙ্গলে এসে খাবার, থাকার স্থান এবং সেই সাথে তার বাকি সাথীদের খুজতে থাকে। কিন্তু তাকে বনের নেকড়ে হামলা করতে থাকে। এভাবে গেমের কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে।

গেমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক উন্নত। যেমন- লারার উপস্থিতি শত্রু পক্ষ টের পেলে সাথে সাথে তারা লুকিয়ে যায় এবং হাত বোমা বা গুলি ছুড়তে থাকে। লারা সামনে এগিয়ে গেলে তারাও পিছিয়ে যেতে থাকে।

গেমপ্লে: এ গেমপ্লের কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে গেমটি গেমপ্লে থার্ড পারসন শুটিং গেমের মত। গেমটি শেষ করতে টানা কমপক্ষে ১৫ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। গেমটিতে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জিং টম্ব রয়েছে যার শেষ করতে রীতিমতো মাথা ঘামানো প্রয়োজন। গেমে অস্ত্র-শস্ত্রের মধ্যে আছে – তীর-ধনুক, তলোয়ার, ছুরি সহ নানা রকম বন্দুক। সাইলেন্ট কিলের জন্য তীর ব্যবহার করাই ভাল। কাছে থেকে মারা জন্য আছে ছুরি। গেমে অ্যামো কোন অভাব নেই। মৃত শত্রুর কাছ থেকে বা আশেপাশে অ্যামো পড়ে থাকে যা ব্যবহার করা যায়। গেমে শত্রুদের সাথে হাতাহাতি করার ব্যাপারটা খুবই মজার। গেমের সাউন্ড, গ্রাফিক্স এককথায় অসাধারণ। গেমে অনেক পোগন জায়গা আছে, আরো আছে অস্ত্র আপগ্রেডের অনেক গোপন জিনিস। যা গেমের মধ্যে খুজে বের করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি গেম গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। আন-অফিসিয়াল গেম গাইড পেতে এখানে ক্লিক করুন।

মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট:

Oparating System: Windows XP SP 3

CPU: Intel Core 2 Duo 1.86 Ghz or AMD Athlon64 X2 2.1 Ghz

RAM: 1GB (2 GB Vista)

Graphics Card: AMD Radeon HD 2600 XT or nVidia 8600

Farcry 3 Single Player Review (PC)


picজনপ্রিয় গেম সিরিজ ফারক্রাই এর তৃতীয় সংস্করণ বের হয়েছে। চলুন নতুন এ গেম সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

ডেভেলপার: Ubisoft Montreal

পাবলিশার: Ubisoft

প্লাটফর্ম: Playstation 3, Xbox 360, Microsoft Windows

গেম ইঞ্জিন: Dunia Engine 2 with Havok physics

মুক্তির তারিখ: ৩০ নভেম্বর, ২০১২

কাহিনী: ফারক্রাই ৩ গেমটি ২০০৮ সালে বের হওয়া ফারক্রাই ২ এর সিক্যুয়েল। ফারক্রাই ৩ এর লোকেশন হচ্ছে ইন্ডিয়ান এবং প্যাসিফিক ওসানের মাঝামাঝি কোন একটি দ্বীপ। গেমারকে খেলতে হবে Jason Brody-এর ভূমিকায়।

Jason Brody তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে আসে ব্যাংককে। সেখানে তারা ঠিক করে তারা স্কাইডাইভিং এ যাবে। তারা সবাই একটি জলদস্যুদের দ্বীপে অবতরণ করে। তাদের সবাইকে জলদস্যুদের নেতা ভাস বন্দী করে ফেলে। ভাস বুদ্ধি করে তাদের পারিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে তাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিবে। জাসন তার বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার বড় ভাই পালাতে গিয়ে মারা পড়ে। ­­­­জাসনকে ডেনিস নামে এক ব্যক্তি বাচায় যে রাকাত এর অন্তর্ভূক্ত। রাকাত হচ্ছে সেই দ্বীপে বসবাসকারি একটি উপজাতি যারা জলদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গেছে। এ উপজাতির নেতা হচ্ছে কিটরা। এরপর সেখান থেকে গেমারের অভিযান শুরু হবে তার অন্যান্য বন্ধুদের বাচানোর এবং ভাস ও তার দস্যু বাহিনীকে ধ্বংস করার। এ গেমের কাহিনী এগিয়ে যাবে। এ গেমটি হচ্ছে ওপেন ওয়ার্ল্ড ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম।

FC_3_CAMERA

গেমে নতুন অনেক বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। নতুন গেমে স্ক্রীণের বাম সাইডে নিচের দিকে মিনি ম্যাপ যুক্ত করা হয়েছে। যা আগের গেমে ছিল না। আগের গেমে প্রতিবার ম্যাপ বের করে করে দেখা বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। আগের গেমে আশেপাশের প্রাণীগুলোকে আঘাত করা যেত না। নতুন এ গেম এসব প্রাণীকে আঘাত করার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে হিংস্র প্রাণী যারা খেলোয়ারকে নানাভাবে আক্রমণ করবে। গেমে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে আছে বাঘ, ভাল্লুক, কুমির, কুকুর, সাপ, কমোডো ড্রাগন ইত্যাদি।  গেমে নতুন অস্ত্রের মধ্যে যুক্ত হয়েছে তীর। গেমে মূল ‍মিশনের পাশাপাশি আছে সাইড ‍মিশন যাতে গেমারকে ছবি তুলতে হবে, পশু ‍শিকার করতে হবে ইত্যাদি। গেমের প্রথম থেকে সম্পূর্ণ ম্যাপ থাকবে না অর্থাৎ গেম খেলতে ম্যাপে নানা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা যাবে।

 

FC_3_MAP_1আগের পর্বে গেমারকে কিছু কিনতে হলে বা মিশন শেষ করলে হীরা পেত কিন্তু এবারে হীরার বদলে যুক্ত করা হয়েছে টাকা। গেমে ছুরি ‍দিয়ে কাউকে পিছনে থেকে মারার ব্যাপারটা ভালই লাগবে। গেমে ছুরি ছুড়েও শত্রুকে মারা যায়। লুকিয়ে লুকিয়ে শত্রুকে মারার সময় শত্রু গেমারের উপস্থিতি কতটা বুঝতে পেরেছে তাও গেমে বোঝা যায়। গেমে কোন ক্যারেক্টার মরে পরে থাকলে তাকে সার্চ করে তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা, গুলি, বোমা ইত্যাদি লুট করা যায়। গেমে কারের পাশাপাশি মটরসাইকেলও আছে। গেমে কিছু গাছ আছে যা সংগ্রহ করে গেমার ঔষধ বানাতে পারবে যা লাইফ কমে গেলে কাজে আসবে। গেমে বিভিন্ন কাজের উপর পয়েন্ট পাওয়া যায়। যেমন- হেডশট, লুকিয়ে মারা, মাল্টিকিল ইত্যাদি। পয়েন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে গেমারের দক্ষতা বাড়ানো যায়। গেমে কিছু কিছু গুহা আছে যেখানে পশু থাকে সেখানে গিয়ে পশুকে মেরে তাদের চামড়া ছাড়িয়েও টাকা পাওয়া যায়।

গেমে গ্রাফিক্স, গেমপ্লে, সাউন্ড ইত্যাদি এককথায় অসাধারণ। গেমটি খেলে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।

মিনিমাম হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows XP 32bit

র‌্যাম: 2 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce 8600 GT অথবা Radeon HD 2600 Pro

প্রসেসর: Core 2 Duo E6400 2.13GHz অথবা Athlon 64 X2 Dual Core 4000+

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB

 

রিকোমেন্ডেড হার্ডওয়্যার:

অপারেটিং সিস্টেম: Windows 7 64bit

র‌্যাম: 4 GB

গ্রাফিক্স কার্ড: GeForce GT 640 1GB DDR3 অথবা Radeon HD 4850

প্রসেসর: Core i3-530 2.9GHz অথবা Phenom II X2 565

হার্ডড্রাইভ স্পেস: 12 GB